সুন্দরবনের প্রাকৃতিক চাকের খাঁটি মধুর জন্য মৌয়ালদের সাথে গভীর বনে ছিলাম। এই সিজনে নিজে উপস্থিত থেকে মধু সংগ্রহ করেছি।
সুন্দরবনে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা খলিশা, গরান, কেওড়া, কাকঁড়া, সুন্দরী, বাইন, গোলপাতাসহ নানা প্রজাতির গাছের ফুল থেকে মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে এই মধুটি সম্পূর্ণ অর্গানিক। কারণ এখানে গাছে কোনো ধরনের সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না।
সুন্দরবন অঞ্চলে আদ্রতা বেশি হওয়ার কারণে এখানকার মধু তুলনামূলক পাতলা হয়।
আমরা অবশ্য আগে জানতাম মৌমাছি সরাসরি ফুলের রস (নেক্টার) মৌচাকে জমা করে। পবিত্র কোরআনে ১৬ নং সূরা, সূরা নাহলে মৌমাছির প্রতি আল্লাহ তায়ালা বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছেন।
সূরার ৬৮ নং আয়াতে মৌমাছি কে আদেশ করলেন পাহাড়ে, বৃক্ষে আর উঁচু চালে বাসা তৈরি করতে।
৬৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে,
অতঃপর প্রত্যেক ফল থেকে আহার কর, অতঃপর তোমার প্রতিপালকের (শিখানো) সহজ পদ্ধতি অনুসরণ কর। এর পেট থেকে রং-বেরং এর পানীয় বের হয়। এতে মানুষের জন্য আছে আরোগ্য। চিন্তাশীল মানুষের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন আছে।
কোরআনে বলা হয়েছে মধু বেশ কয়েক রং এর হতে পারে এবং তা মৌমাছির পেট থেকেই বের হয়। যা বর্তমান বিজ্ঞান প্রমান করেছে। মৌমাছির ২ টা পাকস্থলী থাকে একটাতে সে নিজের খাদ্যের জন্য ব্যবহার করে। আরেকটাতে সে মধু জমা করে।
কোরআনে বলা হয়েছে, মধু হচ্ছে শেফা।
আমাদের প্রিয় নবী মধু পছন্দ করতেন। আমরা আরোগ্য লাভের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নেয়ামত মধু পান করতে পারি। মধু অবশ্যই খাঁটি হতে হবে।
আমরা সরাসরি নিজেরা মধু সংগ্রহ করে থাকি, সুন্দরবন থেকে আমাদের মধু সংগ্রহের সবগুলো ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন, আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে।
https://shorturl.at/aikt9