পাবনার বিখ্যাত গাওয়া ঘি
খাঁটি ঘি চেনার সবচেয়ে সহজ ৩ টি ঘরোয়া উপায়
১) প্রথমে হাতের তালুতে কিছুটা ঘি রাখুন। শরীরের তাপে গলে গেলে বুঝতে হবে বিশুদ্ধ ঘি।
২) ঘি হাতের তালুতে মালিশ করুন, দেখুন সুঘ্রাণ কেমন। যদি সুঘ্রাণ দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে বুঝবেন ঘি খাঁটি।
৩) আরও একটি সহজ পদ্ধতি আছে। এক্ষেত্রে গরম পানির মধ্যে ঘিয়ের বোতলটি বসিয়ে দিন। ভেতরের ঘি গলে যাবে। এরপরে ফ্রিজে রেখে দিন। যদি দেখেন পুরো বোতলে একই রঙের জমাট বাঁধা ঘি তাহলে সেটি খাঁটি। তবে ভেজাল ঘি হলে বিভিন্ন তেলের আলাদা আলাদা স্তর থাকবে।
খাঁটি ঘি পরীক্ষা করার ৩ টি ক্যামিকেল টেষ্ট পদ্ধতি।
১) ১ চামচ ঘি তে ৪ থেকে ৫ ড্রপ আয়োডিন যুক্ত করুন। যদি ঘি এর রং পরিবর্তন হয়ে নীল হয় তাহলে বুঝবেন ঘিতে আলু সিদ্ধ মেশানো আছে।
২) ১টি বাটিতে ১ চামচ ঘি নিন, তাতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড যুক্ত করুন, যদি ঘি এর কালার লালছে বাদামী হয় তাহলে বুঝবেন ঘি তে ডালডা মিক্স করা হয়েছে।
৩) ১০০ মিলি ঘি নিয়ে তাতে ফরমিউরাল এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড মেশান এরপর এলকোহল মিশিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন, যদি লাল রং হয় তাহলে বুঝবেন তিলের তেল মেশানো হয়েছে।
যে ৫ টি কারণে আমাদের প্রতিদিন ঘি খাওয়া উচিত?
১) প্রতিদিন ঘি খেলে একদিকে যেমন ভিটামিন এ এবং ই-এর ঘাটতি দূর হয়, তেমনি অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্টের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী হয়।
২) ঘিয়ে উপস্থিত উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষত লরিক অ্যাসিড এনার্জির ঘাটতি দূরে করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে। এছাড়া নানারকম সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩) ঘি এ উপস্থিত ওমেগা- ৬ এবং ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪) ঘিয়ে উপস্থিত এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে।
৫) ঘিয়ে উপস্থিত ভিটামিন ‘ডি’ ও ভিটামিন ‘কে’ মজবুত হাড় ও দাঁত গঠনে সাহায্য করে।